add

কোন দেশকে টেকনোলজি জনক বলা হয়?


কোন দেশকে টেকনোলজি জনক বলা হয়?

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ।আর যেখানেই বিজ্ঞানে সেখানেই প্রযুক্তি।প্রযুক্তির দিক থেকে কোন দেশ শ্রেষ্ঠ বলুন তো? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন ,সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী দেশটি হলো জাপান।অবশ্য আমরা মনে অনেকেই করি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ আমেরিকা ,এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে আর্থিক এর জেরে আমেরিকা কাছে রযেছে অনেক উন্নত অস্ত্র-শস্ত্র নানান প্রযুক্তি ,কিন্তু প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ।অর্থাৎ অর্থ দিয়ে আমেরিকা হয়তো ঐ প্রযুক্তিকে ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে,কিন্তু উদ্ভাবনী শক্তির মালিক হলো জাপান।


কোন দেশকে টেকনোলজি জনক বলা?
কোন দেশকে টেকনোলজি জনক বলা?

প্রথমে বলবো রোবটের কথা

যদিও রোবট ব্যবহার কতোটা প্রসংগিত তা নিয়ে মতাকক্ষ রয়েই গেছে।অনেকের মতে রোবটের ব্যবহার অবশ্যই কাম্য ।কিন্তু কেউ কেউ আবার এমন মত প্রষণ করেন যে রোবটের ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত নয়,কেননা এতে ভবিষ্যতে এমন এক অবস্থা সম্মুখিন হয়তো হতে হবে যখন মানুষ রোবটকে নয় বরং রোবট মানুষকে শাসন করবে ।

তবুও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রোবট বানিয়েছে।এবং বিশ্বের বাজারে প্রফেসনালি বা কমাশিয়ালি সেগুলিকে বিক্রিও করছে।সৌদি আরব যে উন্নত মানের রোবট বানিয়েছে ।যার মধ্যে রযেছে বুদ্ধিমত্তা,কেচিং পাওয়ার বিভিন্ন আবেগ যেমন,রাগ,আনন্দ ও দুঃখ প্রভৃতি প্রকাশের ক্ষমতা , অর্থাৎ রোবট সুফিয়া।তেমন অনেক রোবট জাপানেও রয়েছে।জাপানের মানুষ নানা কাজে তা ব্যবহার করছে।এয়ারলাইন্স কম্পানিগুলো বা রেস্টুরেন্টগুলিতেও এই রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে।

বুলেট ট্রেন

বুলেট ট্রেন এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই অত্যান্ত পরিচিত ।আর বুলেট ট্রেনের কথা উঠলেই যে দেশটির কথা মাথায় আসে তা হলো জাপান।আর জাপানের সবচেয়ে দ্রুতগতি ট্রেন হলো এস সি ম্যাগলেট যা বিশ্বের বর্তমানে দ্রুততম ট্রেন । 

বর্তমানে জাপান নিজের টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে ভারত ,আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রি করছে ।তবে অন্যে দেশের কোন ট্রেন এর গতি এস সি ম্যাগলেট এর মতো হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
পৃথিবীর সবচেয় দ্রুত গতির ট্রেন বলা হয় সাংগাই ম্যাগলেট ।যার গতিবেগ ঘন্টায় ৪৩০ কিঃমিঃ।আর জাপানের এস সি ম্যাগলেট এর গতিবেগ ঘন্টায় ৬০৩ কিঃমিঃ।

কার পার্কিং

কার পার্কিং ্এর ক্ষেত্রে জাপান অন্যেন্য দেশের থেকে  এগিয়ে রয়েছে ।গাড়ি নিয়ে কোন জায়গায় গেলে আমাদের সবচেয়ে সমস্যা হয় পাকিং সমস্যা নিয়ে।জাপানের বেশ অনেক বছর আগে থেকেই অটোমেটিক কার পার্কিং টেকনোলজি এসেছে।

অটোমেটিক কার পার্কিং এর মাধ্যমে আপনাকে নিজ থেকে  গাড়ি পার্কিং এর জন্য জায়গা খুঁজতে হবেনা।পার্কিং লভে পৌঁছালেই আপনার গাড়িকে অটোমেটিক কার সিস্টেম এর মাধ্যমে এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে জায়গা কাঁটা আছে।আবার আপনার কাজ শেষ হয়ে গেলেই গাড়ি যথা স্থানে এসে পড়বে।

অন্য অন্য দেশে কার পার্কিং থাকলেও জাপানের মতো বহুল পরিমানে কার পার্কিং ব্যবস্থা কোন দেশেই নেই।অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও জাপান  অন্য অন্য দেশ থেকে এগিয়ে।

ট্যাক্সি

ট্যাক্সিতে  আমরা কমবেশি সবাই উঠে থাকি।এ্যাপ ক্যাপ হোক বা সাধারন ট্যাক্সি সব ক্ষেত্রেই  আমাদের  ট্যাক্সির জরজা আমাদের নিজ থেকেই খুলতে হয় কিন্তু জাপান এর ক্ষেত্রে অন্য দেশ থেকে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে।জাপানে ট্যাক্সি বুক করলে আপনার যে ট্যাক্সি আসবে তার জরজা আপনি আপনি খুলে যাবে।

এডভ্যান্স কিছু টয়লেট

জাপানে এমন  কিছু  এডভ্যান্স  কিছু টয়লেট  আছে যেখানে আবহাওয়া অনুযারী উষ্ণতা পরিবর্তন করতে পারে।এবং টয়লেট অটোমেটিক ব্লাড পেশার ও ইউরিন সমস্যা মেপে দিতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের জয়প্রিয় টেকনোলজি

 বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি যেমনঃNINTENDO,SONY,HONDA,PANASONIC,TOSHIBA,SUZUKI,
NIKON,CANON এই সবকটির কম্পানির নাম আপনি নিশ্চয় শুনেছেন।এই সবকটি কম্পানি জাপানের।

তাই এককথায় বলা যেতে পারে  প্রযুক্তির দিক থেকে জাপানের মতো  উন্নত দেশ কমই আছে।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url